
উপ-আঞ্চলিক রূপরেখার আওতায় পরস্পরের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নেপাল।
মঙ্গলবার ঢাকায় সফররত নেপালি পররাষ্ট্র সচিব দুর্গা প্রসাদ ভট্টরাইয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনার জন্য ঢাকা ইতোমধ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপের জন্য সদস্য মনোনীত করেছে এবং কাঠমান্ডুও শিগগিরই তা করবে।
দুই পররাষ্ট্র সচিব দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, দুই দেশের জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ ও পর্যটন নিয়ে আলোচনা করেন।
মিজারুল কায়েস বলেন, “পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং যত দ্রুত আমরা এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা নিতে পারি, তা ততই মঙ্গলজনক হবে।”
নেপালের সপ্তকোষী নদীতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করাটা সচিবদের জন্য যথাযথ হবে না।
যোগাযোগ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এ বৈঠকে আন্তঃযোগাযোগ এবং নেপালের বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়।
মিজারুল কায়েস বলেন, “আমরা কিছু উপ-আঞ্চলিক কর্মপদ্ধতি কার্যকরে সক্ষম হয়েছি এবং সর্বসাম্ú্রতিকটি হলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলওয়ে বিষয়ক প্রটোকলে কিছু সংযোজন এবং রোহানপুর-সিনবাদ হয়ে নেপালে প্রবেশের বিকল্প পথ।”
ভট্টরাই বলেন, নেপাল বাংলাদেশের কাছে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে নিয়মিত পরামর্শ বৈঠক অনুষ্ঠানে নেপাল ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
এ বিষয়ে ভট্টরাই বলেন, এটি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার একটি ভালো প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
এ সম্পর্কে কায়েস বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে নিয়মিত এই পরামর্শ বৈঠক দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ইস্যুতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।
নেপালিদের জন্য পোর্ট-এন্ট্রি ভিসার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক একটি বিবৃতি দেবে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
Related posts:দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় ‘সেফগার্ড শুল্ক’ বিধিমালা হচ্ছে’ক্যারাভ্যান ট্যুর ফর সুন্দরবন’: ৪০ দিনব্যাপী প্রচারণামূলক ভ্রমণ শুরু হচ্ছে কালঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : গৌরবের ৯০ বছর , উৎসবের রঙে রাঙা ক্যাম্পাস