251 views 4 secs 1 comments

কাশফুলের শুভ্রতায় আনন্দ উচ্ছ্বাস!

In Entertainment
October 11, 2022
কাশফুলের শুভ্রতায় আনন্দ উচ্ছ্বাস!

ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রত্যেকটি ঋতুরই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে এখন শরৎকাল। শরতের বিকেলে নীল আকাশের নিচে দোল খায় শুভ্র কাশফুল। শরৎ মানেই প্রকৃতি, শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুলের সাদা হাসি। কখনো কালো মেঘে আবার কখনো সাদা মেঘের আভরণে লুকিয়ে হাসছে সোনালি সূর্য। বাংলার প্রকৃতিতে শরতের এই দৃশ্য দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যায়।

দেশে জনপ্রিয় ফুলের মধ্যে কাশফুল অন্যতম। কাশফুল আমাদের শিখিয়েছে কোমলতা ও সরলতা। তাই এই কাশফুলের নির্মল প্রকৃতিতে মানুষজন বার বার ফিরে যায়।

পদ্মা নদীর তীরে শিবচরে চরাঞ্চলগুলোতে প্রকৃতিতে কাশফুলের রাজত্ব দেখে যে কারোই চোখ-মন জুড়িয়ে আসবে। এই কাশফুলের সাদা সাদা আবেশে আশপাশের তরুণ-তরুণীরা মনের আনন্দে উচ্ছ্বাস করছে। তাদের আনন্দ যেন আর ধরে না! শিবচর উপজেলার দাদাভাই উপশহরে গিয়ে দেখা যায় কাশফুলের বাগানে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন প্রাণ ভরে আনন্দ হই-হুল্লোড় করছেন।

প্রতিবছর শরতের এই সময়টাতে উপজেলার উপশহরে মানুষের পদাচারণ পড়ে। কেউবা স-পরিবারে ঘুরতে আসেন আবার কেউ প্রিয়জনের সঙ্গে এসেছেন সোনালি শরতের মিষ্টি গন্ধের স্বাদ নিতে। এ কাশফুল শিশির ভেজা মাঠ জুড়ে সবুজ ঘাস, নীল আকাশ ও সাদা কাশফুল মানুষের হৃদয়ে শিহরণ জাগায়। কাশফুলের সুবাতাসে মুখরিত এখন গোটা এলাকা। প্রতিদিনেই এই সুগন্ধ পাওয়ার আশায় স্কুল-কলেজগামী তরুণ-তরুণীরা ছুটে আসে এ উপশহরে।

শিবচরে বাংলার প্রকৃতিতে শরতের কাশফুলের এই দৃশ্য মিলে, উপজেলার দাদা ভাই উপশহর, চরজানাজাত বাড় চর এবং কাঠালবািড় বাংলাবাজার ঘাটের নদী তীরের চরে যা পদ্মা সেতু থেকে তাকালে মুগ্ধ করে তোলে সাদা সাদা কাশফুল।


শিবচরে সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আফসানা, হাসিবুল হাসান, আলোমগীর, রোমান জমাদ্দার, রাহাত হোসেন জানান, মন খারাপ থাকলে কাশফুল দেখতে আসি। গ্রামবাংলার অনেক ফুল হারিয়ে গেছে। তবে এখন নদী তীরবর্তী কাশবন দেখে আসলেই মনটা ভালো হয়ে যায়।

শিবচর উপজেলার দাদ ভাই উপশহরে ঘুরতে আসা মেরিন আক্তার, মেহেরুন খান মারিয়া, নুসরাত বলেন, কাশফুল যখন বাতাসের সঙ্গে দোল খায় কাশফুলগুলোর সৌন্দর্য তখন আরো বেড়ে যায়। মন হারিয়ে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে।

শিক্ষার্থী আফসানা বলেন, বাঙালি নারী কাছে সব থেকে আনন্দ হলো শাড়ি পড়ে শরতের সাজে প্রিয় মানুষের সাথে কাশবনে ঘোরাঘুরি করা। এজন্যই যুগ যুগ ধরে কবি সাহিত্যিকরা নারীকে তাদের গল্প-কবিতায় এবং নারী নিজেই নিজেকে শরতের শুভ্রতায় সাজিয়ে তুলতে চেয়েছেন তার প্রিয় মানুষের কাছে।

শিবচরে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও স্বেচ্ছাসেবী দেশ সংগঠনের সভাপতি ওয়াহীদুজ্জামান (ওয়াসিম) যায়যায়দিনকে বলেন, ‘আগে গ্রামীণ দৃশ্যপটে কাশবন দেখা যেত। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাঁটা, ঝুড়িসহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে। কৃষকের ঘরের ছাউনি হিসেবেও এর ব্যবহারের জুড়ি নেই।

শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম যায়যায়দিনকে বলেন, শরৎকালে কাশের সাদা ফুল ফোটে। শরতের হালকা বাতাসে যখন সাদা কাশফুল ঢেউয়ের তালে দুলতে থাকে তখন সবুজ ঘাসফড়িং টিং করে লাফ দিয়ে পড়ে কাশফুলের ডগায়। কাশবনের ব্যবহার বহুবিধ। কাশ দিয়ে গ্রামের নারীরা ঝাঁটা, ডালি ও দোন তৈরি করেন। এছাড়া ঘরের ছাউনি হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। চারাগাছ একটু বড় হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

One comment on “কাশফুলের শুভ্রতায় আনন্দ উচ্ছ্বাস!
    dobry sklep

    Wow, superb weblog structure! How long have you been blogging for?
    you made running a blog look easy. The overall glance of
    your website is excellent, as neatly as the content!
    You can see similar here e-commerce

Leave a Reply